Tuesday 26 September 2017

হতাশ নয় আত্মবিশ্বাসী হউন

আমি একটি মেয়ের কথা জানি, যে অন্যর বাড়িতে কাজ করতো, কাগজের ব্যাগ বানিয়ে দোকানে বিক্রি করতো, তারপর সেই টাকায় পড়াশুনা করেছে। 
...... আজ সে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য।


আমি এক শত কুটি টাকার মালিক শিল্পপতি কে খুব কাছ থেকে ছিনি। যিনি খুব কষ্ট করে লিখা পরা করে বড় হয়েছে তার বাবার কুড়ে ঘর ছিল বর্ষাকালে চাল দিয়ে বৃষ্টি পড়ত। রাতে যখন বৃষ্টি পড়ত তখন ঘুম থেকে উঠে স্কুলের বইগুলো কুলে নিয়ে বসে থাকত। বই গুলো বিজে না যায়, সে আজ দানবীর নামে খ্যাত করিমগঞ্জের এরশাদ উদ্দিন। 


৯ বছর বয়সের এক ছেলে। খাবারের অভাবে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলো, তারপর পাড়ার এক ভাইয়ের সহযোগীতায় পায় দোকানে রুটি বানানোর কাজ। তারপর পড়াশুনা। সেই ছেলেটির নাম আজ সবার মুখে মুখে।
......কাজী নজরুল ইসলাম।


আরেক বালকের কথা জানি,
বাড়ি জামালপুর। খড়ের ঘরে থাকতো আর ছাগল ছরাতো। ছাগলের দুধ বিক্রি করে বিড়ি-সিগারেটের দোকান করতো। জামা পরে সে একদিনও স্কুলে যেতে পারেনি। বাজারে বাজারে গামছা বিছিয়ে টাকা (১৫০৳) তুলে কলেজে ভর্তি হয়েছিলো। সেই ছেলেটিই হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
- নাম, আতিউর রহমান।


আরেক ব্যাক্তি আছে, যে দুই দিনে এক বেলা খেতে পেতো। এতটাই দরিদ্র ছিলো যে বই খাতা কেনার সামর্থ্য ছিলো না তার। কাঠুরিয়ার কাজ করতো, তারপর পড়াশুনা। 


- সেই ব্যাক্তিটিই হয়েছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। নাম- আব্রাহাম লিংকন।
আরেক যুবকের নাম জানি,
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। ছোটবেলায় স্কুল পালিয়েছে একের অধিকবার। রাস্তায় যাযাবরের মত ঘুরতো। বন্ধুর সহায়তায় শুরু করে নিজের মেধার বিকাশ।


- সেই যুবকটিই আজকের বিল গেটস।
আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারের এতই অভাব ছিলো যে- স্কুল নাগাত পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যাক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা। 

- আর কেউ নয়, চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং।

পেশায় ছিলো নাপিত। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কিংবা সেলুনে চুল কাটতো। সে-ই হয়েছিলো কৃষ্ণ-আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনের হোতা। 

- সে হচ্ছে, স্বাধীন নামবিয়ার রাষ্ট্রপিতা ও প্রেসিডেন্ট শ্যাম নাজোমা।

অভাবের তাড়ানায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হয় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।
নাম- জন মেজর।


আরেক ছেলের বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। ভাবতে পারেন?
সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী! নাম- রোনাল্ডো।


বাবা ছিলো জেলে। বাবা মাছ ধরতো আর সে সেই মাছ বিক্রি করতো। সেই জেলের ছেলেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার জয়সুরিয়া।


জিরো থেকে হিরো হওয়া উপরের উদাহরণ গুলো দেওয়ার কিছু কারন আছে।
এদেরও অনেক কষ্ট ছিলো, জীবনের শুরুতেই হতাশ হয়েছিলো বার বার।
কিন্তু, হাল ছেড়ে দেয়নি.....ডিপ্রেশনকেও স্থান দেয়নি নিজের মাঝে। করেনি সুইসাইড।


অথচ আমরা আজকাল আইফোন কিনতে না পেরে সুইসাইড করি। প্রেমে ব্যার্থ হয়ে ডিপ্রেশনে পড়ে ড্রাগস নেই, তারপর সুইসাইড!
কিন্তু কেন রে ভাই!!????


আপনিও যে দ্বিতীয় কোন আতিউর রহমান কিংবা আব্রাহাম লিংকন হবেননা, তার-ও বা কি নিশ্চায়তা আছে????


কেন লাইফে ডিপ্রেশনকে জায়গা দিবেন!??
Be strong!


ফুল দিও, কলি দিও, কাঁটা দিও না,
নিজের উপর কনফিডেন্স রাইখো, ডিপ্রেশড হইয়ো না....


Collected

No comments:

Post a Comment