Saturday 31 December 2016

ব্লগিং কি? ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় কি সম্ভব?

অনলাইন আয়ের একটি জনপ্রিয় এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে আয় এখন অনেকেই পেশা হিসাবে নিচ্ছে এবং ঘরে বসে অতি সহজেই নিজের এবং দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করছে। এই পোষ্টে ব্লগিং কি? এর মাধ্যমে আয় সম্ভব কিনা এসব ধারণা দেয়া হবে। পরবর্তী পোস্টসমূহে ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ব্লগিং কি?


কিছু বছর আগেও অনেকে শখের ডায়রি লিখত, যেমনঃ সারাদিন সে কি কাজ করল, কিভাবে সারাটা দিন কাটাল ইত্যাদি। এটা মানুষ শখের বশেই করত, পরবর্তীতে যেন বহুবছর পর ওই বিশেষ দিনে সে কি করেছিল তা মনে করতে পারে।

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ, তাই এখন ব্যক্তিগত মতামত, চিন্তা, চেতনা এসবই ইন্টারনেটে শেয়ার করা যায়। Blog মানে হচ্ছে Personal Dairy. ব্লগিং বলতে নিজের ব্যক্তিগত ধারণা, ভাললাগা, ভালবাসা এসব ইন্টারনেটে একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে শেয়ার করাকে বুঝায়। যদিও উপরোক্ত লাইনগুলো ব্লগিং এর সম্পূর্ণ ধারণাকে সম্পূর্ণরুপে ব্যক্ত করে না, আমাদের সকল পোস্টগুলো ভালভাবে অনুসরণ করলে ব্লগিং সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে আশা করি।

ব্লগ ওয়েবসাইট এর জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা রুলস নেই। আপনার ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনা, ভাল-লাগা, শখ এসব নিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইট করা যায়।

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় কি সম্ভব?

একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি মিডিয়া, যেমনঃ টেলিভিশন , রেডিও বা নিউজপেপার। হাজার , লাখ কিংবা কোটি দর্শক একটি মিডিয়াতে একসাথে খবর, নাটক বা সিনেমা উপভোগ করে। মিডিয়া মালিক বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের প্রচার ও চালায়, এর মাধ্যমে সে ইনকাম করে।

আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিও একটি মিডিয়া, যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার মিডিয়াটি জনপ্রিয় করতে হবে, যখন আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা শুরু করবে, আপনি বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন পাওয়া শুরু করবেন। বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও আয় করতে পারবেন।

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

ব্যক্তির উপর নির্ভর করে কম বেশি ১ বছর থেকে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। অধিক বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তি তারাতারি সফল হবে এটাই নিয়ম, তবে বেশি সময় দিয়ে লেগে থাকলে যে কেউই সফল হবেন। শুধু পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন, সাথে দরকার প্রচণ্ড মনোবল।

ভালো ফ্রিল্যান্সার হবার জন্য আপনাকে ইংরেজিতে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। তাই ( ইংলিশ ভিলেজ ) গ্রুপে জয়েন করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ইংরেজি চর্চা করুন। কি শিখবেন , কেন শিখবেন এডমিনকে জিজ্ঞাসা করুন, সাথে থাকুন।


আমরা কর্মপরিকল্পনাসহ বিস্তারিত পোস্ট পর্ব আকারে প্রকাশ করছি, আমাদের সাথেই থাকুন।

Friday 30 December 2016

ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং কি?

আমরা মার্কেটিং কি কম বেশি সবাই জানি। মার্কেটিং হচ্ছে বসুন্ধরা সিটি যেয়ে গার্লফ্রেন্ড এর জন্য ঈদ এ নতুন জামা ও জুতা কেনা। তাই না? আসলে কিন্তু না :P আসলে মার্কেটিং হচ্ছে যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য এর ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন এ করবেন সেটা হবে “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিল টা নিজের কোন প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিক্রয় ও প্রমোশন এর জন্য ব্যাবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং। আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি আপনার জন্য?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো একটি ক্যারিয়ার হবে কিনা তা এখনি জানা যাবে। আমি নিচে কিছু লিখবো, সব গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য। একটিও যদি না মিলে, যত দিন আপনি ওই জিনিস টি মিলাতে না পারবেন, ভালো মার্কেটার হতে ওই একটি বাঁধা আপনার রয়ে যাবে।
* আমার কম্পিউটার টি আমার মন মত, এই কম্পিউটার এ আমি কাজ করে আনন্দ পাই।
* আমার ইন্টারনেট লাইন টি আনলিমিটেড আর আমি সহজেই ইউটিউব এ আটকানো ছাড়া ভিডিও দেখতে পারি।
* আমার একটি প্রিন্টার আছে
* আমার একটি আলাদা কাজ এর জায়গা আছে, আর কাজের সময় আমাকে কেও ডিস্টার্ব করে না।
* আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি, আর স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি নিরলস পরিশ্রম করতে রাজি।
* আমার ইংরেজি খুব ই ভালো, আমি যা শুনী সহজেই বুঝি, আর আমি কোন সমস্যা ছাড়া ইংরেজি লিখতে পারি।
* নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে, গবেষণা করতে আমার ভালো লাগে।
* খুব সূক্ষ্ম ভুলও আমার চোখ এড়ায় না, যা করি একদম ভালো মত করি।
* বন্ধু, আড্ডা, খেলা, বেরানো সব কিছুর চাইতে বেশি আমি আমার ক্যারিয়ার কে মূল্য দেই।
* আমি কখনই হার মানি না, একটি কাজ শুরু করলে সেইটা শেষ করেই ছাড়ি।
* আমি প্রতিদিন অন্তত ৩ ঘণ্টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করতে পারব।
* আমার হাতে ২০-২৫ হাজার টাকা আছে, যেটা শিখার সময় লস হলে কোন অসুবিধা নাই।
* অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ এখনি কামাই করার চাইতে, শিখা টা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
* মানুষ এর মন মানসিকতা ও চিন্তাধারা (Customer Phycology) সম্পর্ক জানতে ভালো লাগে।
* যেকোনো কিছু সম্পর্কে আমি বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করতে পারি গুগল থেকে।
* আমার মধ্যে লোভ খুব একটা কাজ করে না। তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়াতে আমি বিশ্বাসী না।
* আমি জানি আমি পারব, আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, সামনে বছর এই সময় আমি একজন সফল মার্কেটার হয়ে দেখাব।
সবগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল আপনি হবেন ই, ইনশাল্লাহ।
লেখা কৃতজ্ঞতাঃ রিফাত আহমেদ