Wednesday, 31 May 2017

যদি অন্য প্রাণীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকত তাহলে কেমন হত তাদের স্ট্যাটাস আপডেট??

#তেলাপোকা : এইমাত্র বেঁচে ফিরলাম.. একটা মাইয়ার শরিরে ঝাপ 🤔🤔দিছিলাম, 'ও মাগো' কইয়া চিক্কুর মারছে! ওহ্ গড, কান্ডা আমার শেষ। - feeling sad!!
#বিড়াল : আজ সকালে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল৷ আমার ৭ নম্বর বাচ্চাটা হঠাৎ গলা জড়িয়ে ধরে জানতে চাইল ওর বাবা কে? আমি এখন কি করে বলি? আমার নিজেরই যে মনে নেই! -feeling confused!!
#মশা : OMG!! লোভে পড়ে এক শালীর রক্ত খেয়েছি। আমি এখন HIV পজিটিভ ! কেন যে টেস্ট না করেই রক্ত খেতে গেলাম !!! - feeling heartbroken!!
#ছাগল : যাক বাবা, কুরবানি শেষ হলো। এবার একটু শান্তিতে বাইরে বেরুতে পারব। - feeling relaxed!!
#মুরগী : কাল যদি আমি কোন স্ট্যাটাস না দিই, তাহলে বুঝে নিও ফ্রান্স আমি আছি কোনো বিয়ে বাড়ির রোস্টের ডিশে। - feeling disappointed!!
#বাঘ : শিকারি বেটা আসছে বন্দুক নিয়ে আমাকে শিকার করতে.. একটা 'হালুম' করছি আর ভয়ে দিছে দৌড় ! - feeling proud!!
#বাদুড় : সারাদিন তো সিধা হয়ে ঝুলে থাকি, মানে পা ওপরের দিকে আর মাথা নিচের দিকে। আজ কিছুক্ষণের জন্য উল্টো হলাম । আর দেখি কি আজব তামাশা ! মানুষগুলো সব উল্টো হয়ে হাঁটছে। কেমনে কি?? মাথায় ধরে না মাম্মা -feeling crazy!!
#ময়ুরী: জন্মদিনটা চমৎকার কাটল.. ও আমাকে আজ পেখম মেলে নাচ দেখালো.. বেঁচে থাকার মাঝে এতো সুখ, কি যে করি ?? - feeling loved!!
#কোকিল: শীত এসে গেল, আর শীত গেলেই তো শুরু হয়ে যাবে আমাদের লাইভ কনসার্ট। গেলাম। আবার রেওয়াজে বসতে হবে.. - feelings excited!!
#উকুন : আজ তো মাম্মা ব্যাপক টেনশনে ছিলাম। আজ মাথায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছিলো। অল্পের জন্যে চিরুনির ফাঁক দিয়ে বেঁচে ফিরেছি। - feeling awesome!!
#টিকটিকি : ইয়েস, আই ডিড ইট ! বেটা সারাদিন কম্পিউটার খুলে ফেসবুকে মুখ গুঁজে বসে থাকে। বাথরুমটা সেরেছি একেবারে মাথার উপরের ছাদে বসে, একেবারে ঠিক টাকের উপর। ওয়াও ! হোয়াট এ টার্গেট ! - feeling satisfied!!
collected

সুইডেনে একজন দিনমজুরের খুব ইচ্ছা ছিল সে টাইটানিকে চড়বে

১) সুইডেনে একজন দিনমজুরের খুব ইচ্ছা ছিল সে টাইটানিকে চড়বে,।
এই উদ্দেশ্য সে ওভারটাইম করতো।
টাইটানিক যাত্রা শুরু হওয়ার মাত্র এক মাস বাকি,
পরিবারের সকলেই তাদের ভ্রমন নিয়ে খুব উৎসাহিত ছিল।।
হঠাৎ তার ছেলেকে কুকুর কামড় দেওয়ার ফলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে গেল।।।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ছেলেকে ৬ মাস বাইরে কোথাও নেওয়া যাবে না।।।।
পরিবারের সকলেই খুব কষ্ট
পেল।।। তাদের এতদিনের ইচ্ছার জন্য সে দিনরাত পরিশ্রম করেছিল।
এখন সব পানিতে।।।
১৯১২ সালে টাইটানিক যাত্রা শুরু করে, দিনমজুরটি প্রতিদিন তার সন্তানকে বকা দিত।তার স্বপ্ন ভাঙার জন্য অভিশাপ দিত।।।
১২ দিনের মাথায় টাইটানিক ডুবি হয়,
এরপর দিনমজুরটি তার সন্তানের কাছে ক্ষমা চায়।
২) প্রশান্ত মহাসাগরে একটি জাহাজ ডুবে যায়,জাহাজের সকল যাত্রী মারা যায়,কেবল একজন ছাড়া।
মানুষটা অনেক কষ্টে একটি দ্বীপে আশ্রয় নেয়,এবং সেখানে থাকতে শুরু করে,ঘরবাড়ি বানিয়ে এবং ফল খেয়ে বেচেছিল অনেকদিন।।।
হটাত একদিন তার ঘরে আগুন লেগে যায় এবং সে
কান্নায় ভেঙে পরে,
সৃষ্টিকর্তাকে সে অপবাদ দিতে শুরু করে,
'' আমার সবকিছু কেড়ে নিলে,এখন আমার এইটুকুও কেড়ে নিলে তুমি''
পরের দিন একটি জাহাজ তার হই হুল্লোরের শব্দ এবং আগুন দেখে তাকে উদ্ধার করতে আসে,
সে সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।।
৩) একটি গ্রামে সকল মানুষ মাল্টিন্যাশেনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো।
তখনকার রীতি অনুযায়ী, সম্মানী ব্যক্তি মানেই মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে চাকরি করতে হবে।।।
লোকটা গ্রাম থেকে শহরে গেল চাকরি পাওয়ার আশায়, এত শিক্ষিত না হওয়ার কারণে সে বেশ সুবিধা করতে পারছিল না,
পরবর্তীতে সে একটি মাল্টিন্যশানাল কোম্পানিতে সুইপারে কাজ পায়,
সব ফর্মালিটি শেষ, এখন কেবল জয়েন করবে,
কোম্পানি তাকে তার ইমেইল এড্রেস দিতে বলে,
তখনকার সময় সকল কর্মকর্তাদের ইমেইল এড্রেস ছিল বাধ্যতামূলক।।
তার কোনো ইমেল ছিল না,ফলে সে চাকরিতে জয়েন দিতে পারেনি।
রাগে দুঃখে সে পণ করে বসে সে আর চাকরিই করবে না।।
গ্রাম থেকে নিয়ে আসে টাকা দিয়ে টমেটো কিনে ব্যবসা শুরু করে,,,
ব্যবসায় প্রচুর পরিশ্রমের ফলে সে ভাল টাকা ইনকাম করছিল।
একদিন একজন শিল্পপতি তার পরিশ্রম দেখে তাকে সাবানের কারখানা দিতে বলে,
সে ঋণ গ্রহন করে এবং তার জমানো টাকা দিয়ে সাবানের কারখানা স্থাপন করে।
কয়েকবছর পর তার সাবানের কারখানা দেশের প্রতিটি রাজ্যে শাখা খুলে ফেলে এবং তাকে বানিয়ে দেয় কোটিপতি।
এলিকো নামের একটি বীমা কোম্পানি তার বীমা করানোর জন্য তার কাছে যায়,
এলিকোর এজেন্ট তাকে ফর্ম পূরণ করতে বললে তিনি বলেন, আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই,,,
 এই কথা শুনে এজেন্ট অবাক হয়ে যায়,
তিনি বলেন,আপনার ইমেইল এড্রেস ছাড়া আপনি কোটি টাকার মালিক,আপনার ইমেইল এড্রেস থাকলে তো আপনি বিশ্বের এক নাম্বার ধনীব্যক্তি হয়ে যেতেন।
তিনি হেসে জবাব দেন''আমার ইমেইল এড্রেস থাকলে আমি হতাম সুইপার,তাই আজ পর্যন্ত ইমেইল খুলিনি''।
ওয়াট গড উইলস ইস ফর গুড।।।
সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালর জন্য করেন,
জলাতঙ্ক রোগাক্রান্ত না হলে দিনমজুরটি হয়তো তার গল্প বলার জন্য বেচে থাকতেন না,
বেড়ার ঘরে আগুন না লাগলে মানুষটি হয়তো কখনও উদ্ধার পেতেন না,
ইমেইল আইডি থাকলে লোকটি হয়তো শিল্পপতি না হয়ে সুইপারের চাকরি করতো।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের কখনও নিরাশ করেন না,
আজকে ভাল কিছু পাইনি, ভবিষ্যৎ হয়তো আমাদের অপেক্ষা করছে,
আজকে ভাল জিপিএ না পাওয়া ছাত্রটা হয়তো ভাল ভার্সিটিতে জায়গা করে নেবে,
আজকে মেয়েটা প্রেম করলো না, অপমান করে চলে গেল, হয়তো আরও ভাল কেও সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য রেখেছেন।।।।।
চেষ্টা করে যেতে হবে,
ডু ইউর বেস্ট এন্ড লিভ দা রেস্ট।।।
যতক্ষণ ভাল কিছু না হয় অপেক্ষা করে যেতে হবে,
সৃষ্টিকর্তার নিকট বিনয়ী হতে হবে,চেষ্টা করে যেতে হবে।।।
সাফল্য আসবেই।।।।
সাফল্য তোমাকে ঠিকই খুজে নেবে।।।
Collected From - 
Lokman Hakim

Sunday, 28 May 2017

বেচারা স্বামীকে বাঁচাতে মেশিনও চেষ্টা করে - কৌতুক

এক ভদ্র মহিলা কেনাকাটা ‌শেষ করে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে ‌পে‌মেন্ট দেয়ার জন্য ব্যাগ খুলতেই ক্যাশিয়ারের নজরে এলো তার ব্যা‌গে এক‌টি টিভি রিমোট।
ক্যা‌শিয়ার: (কৌতুহলবশত, জানতে চাইলেন) ম্যাডাম ব্যাগে টি‌ভি রিমোট কি সব সময় থাকে?
মহিলা: না, মাঝে সাজে। আজ আমার হাজব্যান্ড আইপিএল ফাইনাল দেখবে বলে আমার সা‌থে শপিংয়ে এলোনা। তাই জব্দ করতে টি‌ভি রিমোটটা ব্যাগে ক‌রে নি‌য়ে এ‌সে‌ছি।
শিক্ষা:
(১) বউ এর তুচ্ছ ‌বিষ‌য়েও তাচ্ছিল্য কর‌লে বিপদ।
ক্যাশিয়ার: (হাসতে হাসতে) ভদ্র ম‌হিলার এ‌টিএম কার্ডটি ফেরত দিতেই-
মহিলা: এটা কি হলো?
ক্যাশিয়ার: আপনার স্বামী ওনার সাপ্লি‌মেন্টা‌রি কার্ডটি সম্ভবত ব্লক করে দিয়েছেন।
শিক্ষা:
(২) স্বামীর শখও স্ত্রীর নিকট সম্মান‌যোগ্য।
মহিলা: ব্যাগ থেকে এবার স্বামীর এ‌টিএম কার্ডটি বের করে সোয়াইপ করলেন।
শিক্ষা:
(৩) বৌ-এর লম্বা হাতের সঠিক ধারণা থাকা দরকার।
ক্যা‌শিয়ার: ভদ্র ম‌হিলা‌কে বল‌লেন, সোয়াইপ মে‌শিন থে‌কে আপনার মোবাই‌লে একটা পিন নম্বর পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সে‌টি বলুন?
শিক্ষা:
(৪) বেচারা স্বামীকে বাঁচাতে মেশিনও চেষ্টা করে।
মহিলা: (মুচকি হেসে) ব্যাগ থেকে স্বামীর ‌মোবাইল ফোনটা বের করলেন এবং পিন নম্বরটা ক্যা‌শিয়ার‌কে জানা‌লেন। (বি: দ্র: স্বামীর মোবাইল ফোন‌টি তি‌নি স‌ঙ্গে এনেছিল যাতে শপিংয়ের সময় স্বামী ফোনে বিরক্ত কর‌তে না পা‌রে।)
শিক্ষা:
(৫) স্মার্ট ও ভদ্র মহিলাদের সাথে টক্কর নিও না।
অবশেষে, সব কেনাকাটা সেরে তৃপ্ত ম‌নে ভদ্র‌মহিলা ঘরে ফিরলেন।
বাড়ি ফি‌রে মহিলা দেখলেন, গ্যারেজে স্বামীর গাড়ি নেই।
ঘ‌রের দরজায় স্টিকারে লেখা-
"বন্ধুর বাড়ি আই‌পিএল ফাইনাল খেলা দেখতে গেলাম। ফিরতে অনেক রাত হ‌তে পা‌রে। আর হ্যাঁ, কোন দরকার থাকলে মোবাই‌লে ফোন করো।"
স্টিকা‌রে লেখা প‌ড়ে-
হতাশ হ‌য়ে ভদ্রমহিলা ঘ‌রের দরজার সাম‌নে বসে পড়লেন। কারণ-
বাড়ির চাবিটা স্বামীর কাছে! আর-
স্বামীর মোবা‌ইল ফোনটা ভদ্র ম‌হিলার কা‌ছে!
শেষ শিক্ষা:
স্বামীর ওপর বেশি প্যাঁচ কষলে ‌শেষ পর্যন্ত স্ত্রী‌কেও এর ফল ভোগ কর‌তে হয়।

Wednesday, 24 May 2017

অতি চালাক নাকি অতি নির্বোধ?

১. মিষ্টি বিক্রেতা মনে করে, আমি তো মিষ্টি খাই না। তাই এতে ভেজাল করলে আমার কোন সমস্যা নাই।
২. বেকারির মালিক মনে করে, আমিতো বিস্কুট খাই না। তাই পঁচা ডিম-ময়দা দিয়ে বানালে আমার কোন সমস্যা নাই।
৩. ফল বিক্রেতা মনে করে, আমিতো ফল খাই না। তাই কেমিকেল মিশালে আমার কোন সমস্যা নাই।
৪.মাছ বিক্রেতা মনে করে, আমিতো ফরমালিনযুক্ত মাছ খাই না। তাই ফরমালিন মিশালে আমার কোন সমস্যা নাই।
দিনের শেষে.......
১. মিষ্টি বিক্রেতা মিষ্টি বিক্রি করে বিস্কুট, ফল, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।
২. বেকারির মালিক বিস্কুট বিক্রি করে মিষ্টি, ফল, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।
৩. ফল বিক্রেতা ফল বিক্রি করে মিষ্টি, বিস্কুট, মাছ কিনে নিয়ে বাসায় যায়।
৪. মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করে ফল, বিস্কুট, মিষ্টি কিনে নিয়ে বাসায় যায়।
সবাই মনে মনে নিজেকে অনেক চালাক ভাবে; অনেক লাভ করেছে ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে। আসলে তারা যে নিজেরাই নিজেদের ঠকাচ্ছে, ক্ষতি করছে তা ভাবতেও পারেনা
collected