অনেকের মতে ইউটিউব চ্যানেল ব্যান হবার অন্যতম কারন স্লাইড ভিডিও । আসলেই কি তাই?
বিভিন্ন গ্রুপ বা কমিউনিটিতে প্রায়ই বলতে শোনা যায়, স্লাইড ভিডিও দেয়ার কারনে আমার
চ্যানেল ব্যান হয়ে গিয়েছে। আসলে বাস্তবিকভাবে চ্যানেল ব্যান হওয়ার অন্যতম কারন
লো-কোয়ালিটি ভিডিও এবং ইউটিউবের নিয়ম-নীতি না মানা।
এখন Exactly কি কারনে আপনারচ্যানেল ব্যান হয়ে গিয়েছে, সেটা বলা মুশকিল। তবে, Rules and Regulation মেনে স্লাইড ভিডিও বানালে চ্যানেল
ব্যান কখনোই হবে না। আমি হাজার হাজার চ্যানেল দেখাতে পারি যেগুলি স্লাইড ভিডিও
বানিয়ে লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার পাচ্ছে এবং বেশ ভাল ডলার কামাচ্ছে।
এখন মূল কথাতে যাওয়া যাক।স্লাইড ভিডিও বানানো যদি YouTube এর Terms and Conditions এর পরিপন্থী হত, তাহলে YouTube তার Editor Option এ স্লাইড ভিডিও বানাবার অপশন টা রাখতো
না।
তাহলে, বেশির ভাগ স্লাইড ভিডিও দিয়ে বানানো চ্যানেল ব্যান হয় কি কারনে? এর প্রধান কারন হচ্ছে, Video Quality. বেশির ভাগ মানুষই স্লাইড ভিডিও বলতে
ইমেজ লেফট থেকে রাইট, রাইট থেকে লেফট অথবা উপরে নীচে স্লাইড এবং ন্যূনতম কিছু Text Animation যোগ করাকেই বুঝেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিডিওগুলি সব সময় Low-Quality হয় এবং অনেকেএমন সব টপিক নিয়ে কাজ করে,
যেই টপিকগুলি YouTube
এ
লাখের উপরে বিদ্যমান। যেমন: Top 10 Richest People In The World. এটি কোন নতুন টপিক নয়। এই টপিক নিয়ে আপনি অলরেডি হাজার হাজার
ভিডিও পাবেন, যাদের কোয়ালিটি খুবই ভাল।
এমনকি Adobe After Effect Software ব্যবহার করে, Original Voice ব্যবহার করে করা হয়েছে। সুতরাং, আপনার
বানানো খুবই নিম্নমানের Low Quality ভিডিও YouTube খুব সহজেই সনাক্ত করে চ্যানেল ব্যান করে দেয়।
তাহলে কি স্লাইড দিয়ে বানানো YouTube ভিডিও বানাব না? এর একটাই উত্তর: Video Quality.
আপনি যদি ভিডিও কনটেন্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে slide video নিয়ে অবশ্যই কাজ করা উচিৎ।
কারণ ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও বানানো অনেকর জন্যই কষ্টসাধ্য।এখন কথা হচ্ছে, কোয়ালিটি কনটেন্ট কি? একটা ভিডিও হচ্ছে
টেক্সট, অডিও, ইমেজ এর মিশ্রণ। কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে এই জিনিসগুলির
উত্তম ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ভিডিও বানানোর আগে আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ইস্যু সম্পর্কে মাস্ট জেনে
নিতে হবে। অনেকে প্রায় সময়ই বলে থাকেন, Google থেকে Image নিয়ে ভিডিও বানালে চ্যানেল ব্যান হয়ে যায়।
কিন্তু Google এ Image Search Option এ গেলে আপনি একটি অপশন পাবেন। সেটা হল, Re-Usable Image অপশন। যদি Google এর ইমেজ গুলি ইউজ করা নিষেধ হত, তাহলে
এই অপশন টি রাখত না।
এখন আপনাকে জানতে হবে, Google থেকে কপিরাইট-ফ্রি ইমেজ আপনি কিভাবে সংগ্রহ
করতে পারবেন কিভাবে সেটা আপনার স্লাইড ভিডিও তে ইউজ করবেন এবং CC Music এর ব্যবহার সম্পর্কেও জানতে হবে।
কোয়ালিটি ভিডিও কিভাবে নিশ্চিত করবেন??
ভিডিও কোয়ালিটি ২ ভাবে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন। প্রথমটি হল, Visual Quality. আর দ্বিতীয়টি হল Content Strength।
Visual
Quality মানে
বাহ্যিক সৌন্দর্য।আমরা প্রায়ই কিছু Animated Video পাই, যেগুলি বার বার দেখতে ইচ্ছে করে। , আপনি
যদি Left-Right,
Slide Effect না দিয়ে PowerPoint Presentation কিংবা Adobe After Effect অথবা Camtasia দিয়ে দৃষ্টিনন্দন Animated Video বানাতে পারেন, যেটা মানুষকে বিনোদন
দেয় অথবা উপকারি কোন তথ্য দিয়ে সাহায্য করে, তাহলে খুব সাধারন Topic নিয়ে ভিডিও করলেও আপনার চ্যানেল ব্যান
হবে না।
এই ভিডিওটি কেমটাশিয়া দিয়ে করা একটি ভিডিও। যে কোন প্রডাক্ট নিয়ে রিভিও ভিডিও বানিয়ে এফিলিয়েট ইনকাম করাও সম্ভব।
অন্যদিকে Content Strength খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খুবই কঠিন একটি বিষয় আপনি সহজে step by step Image এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে পারলে ভিউয়াররা
আপনার ভিডিওটি খুব সহজেই পছন্দ করবে। Content Quality নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে একটা বিষয়ে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা সময় দিতে হবে
শুধুমাত্র জিনিসটি জানা এবং বুঝার জন্য যাতে করে আপনি ব্যাপারটি খুব সহজভাবে আপনার
Video তে সহজভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এতে
করে আপনার Viewer
রা
উপকৃত হবে।
কিভাবে আইডিয়া জেনারেট করবেন???
অনেকেই ভেবে পান না যে, কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাবেন। Internet এ প্রতিটা টপিক এর উপর কিছু জায়ান্ট বা অথোরিটি ওয়েবসাইট পাবেন, যাদের সাইটে হাজারো কনটেন্ট আছে। যে কোন একটি ওয়েবসাইট
ফলো করে এর উপর প্রচুর পড়তে থাকুন। এতে করে বিষয়টির উপর আপনার অনেক বেশি দক্ষতা
চলে আসবে। আপনি যদি Body Fitness নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে WikiHow এর মতো কোন একটি অথোরিটি সাইট বেছে নিন এবং Body Fitness Section এ প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় দিন
পড়বার জন্য। সময়ের সাথে সাথে আপনার দক্ষতা বাড়বে এবং কিছু সহজ বিষয় পেয়ে যাবেন,
যেগুলি নিয়ে অনায়াসেই ভিডিও বানানো যায়।
সবশেষে, Video Quality নিশ্চিত করতে পারলে, স্লাইড ভিডিও ব্যান হবার কোন কারন নেই। বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই চ্যানেল ব্যান হবার অন্যতম কারন হচ্ছে নিম্নমানের ভিডিও। আপনার হাই
কোয়ালিটি ভিডিও চ্যানেল ব্যান হলেও Appeal এর মাধ্যমে ফেরত পাবার সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ।
এমন কোন টপিকে কাজ করার চেষ্টা করুন, যে টপিকে ভিডিও সংখ্যা কম বা ভাল ভিডিও নেই।