Thursday 9 February 2017

ক্যারিয়ার হিসেবে আর্টিক্যাল রাইটিং

“ক্যারিয়ার” মানেই কি আমরা মনে করি, মেডিকেল সায়েন্স অথবা, ইঞ্জিনিয়ারিং-এই ক্যারিয়ার গড়তে হবে?

ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে ব্যর্থ হলে জীবনে আর তেমন কিছুই করা সম্ভব না- এই কথাটি ইন্টারনেটের যুগে আসলেই বেমানান।
ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা গোটা পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় যখন আনতে পেরেছি, তখন আমাদের যেকোন প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারি।

তবে কেন সেই ব্যক্তি আর্টিক্যাল রাইটিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারবে না যার কিনা লেখালেখিতে অসাধারন প্রতিভা আছে?

এটা কি আসলেও কাম্য? আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি আর্টিক্যাল রাইটিং ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন হতে পারে?

ক্যারিয়ার হিসেবে আর্টিক্যাল রাইটিং

বর্তমান যুগে বেশিরভাগ কাজই এখন অনলাইনভিত্তিক। আর এই কথাটি বললে ভুল হবে না যে অনলাইন মার্কেটিং জগৎ এখন আর্টিক্যাল রাইটিং এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে একজন ভালো মানের আর্টিক্যাল রাইটার এর গুরুত্ত অনেক বেশি। আর গুরুত্ত আছে বলেই তার আয়ও বেশি হবে- এটাই কি স্বাভাবিক নয়?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চাইলেই কি ভালো মানের রাইটার হওয়া সম্ভব? কেন নয়? অবশ্যই সম্ভব। আর এটা বলছি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। আর্টিক্যাল রাইটিং সম্পর্কে প্রথম শুনেছিলাম আমার মায়ের কাছ থেকে। তারপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন এবং ইন্টারনেট এর মাধ্যমে এর বিস্তারিত জানতে পারি। প্রথমে ভাবতাম অনেক কঠিন কাজ। দ্বিধায় ভুগছিলাম সফল হতে পারব কিনা। সাহস যুগিয়েছিল তখন মা। অনেক চেষ্টার পর ওডেস্কে আর্টিক্যাল রাইটিং এর একটি কাজ পেয়ে যাই এবং সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করায় ক্লায়েন্টও সন্তুষ্ট হয়।

আর্টিক্যাল রাইটিং এর প্রথম ফিডব্যাক আর আজ আমি আপনাদের সাহস দিচ্ছি, চেষ্টা করলে আপনারাও অবশ্যই সফল হতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা। প্রফেশনাল রাইটার হতে হলে যেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে প্রথমত, ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তৃতীয়ত, রিসার্চে দক্ষ হতে হবে এবং সেই সাথে প্রয়োজন ধৈর্য। চতুর্থত, প্রচুর পরিমানে লেখার চর্চা করতে হবে। পঞ্চমত, সময় এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। এখন আপনি যদি আর্টিক্যাল রাইটিং এ যথেষ্টই উৎসাহী হন, তবে দেখে নেয়া যাক একটি ভালো মানের আর্টিক্যাল লিখতে হলে যেসব অংশে বিশেষ গুরুত্ত দিতে হবে।

আর্টিকেলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ
আর্টিকেলের অংশসমূহ
টাইটেল
প্রথমেই একটি আর্টিকেলের যে অংশটি আমাদের নজরে আসে সেটি হলো আর্টিক্যালটির টাইটেল। টাইটেল এর উপর ভিত্তি করেই পাঠক সেটি পড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সুতরাং, ভালো মানের আর্টিক্যাল লিখতে হলে অবশ্যই একটি নজরকারা টাইটেল নির্বাচন করতে হবে এবং আর্টিকেলের বিষয়টি যেন তাতে সম্পূর্ণই প্রতিফলিত হয়।
সূচনা
আর্টিক্যালটির সূচনা করুন এমনভাবে যেন তার বিষয় সম্পর্কে পাঠকরা পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে এবং পাঠক যেন তা পড়ার আগ্রহ ধরে রাখতে পারে।
মূল বিষয়
আর্টিকেলের মূল বিষয়টি কয়েকটি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা করুন। তবে অপ্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রয়োজনীয় কথা দিয়ে আর্টিক্যালটি অযথাই বড় করবেন না। এতে পাঠক তার পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পাঠকের আরও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুচ্ছেদগুলোরও উপযুক্ত নামকরণ করে ফেলুন।
ছবি
আর্টিকেলে ছবি যুক্ত করার মাধ্যমে সেটিকে আরও বেশি জীবন্ত করে তুলুন। যেকোনো বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে এটি অনেকাংশে সাহায্য করে এবং এতে পাঠক সম্প্রদায় লেখাটি পড়তে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
সংযোগ স্থাপন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আর্টিকেলের এক অংশের সাথে আরেক অংশের মধ্যে কিছু সংযোগমূলক কথা লিখুন যাতে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
সর্বশেষ অংশ
আর্টিকেলের সর্বশেষ অংশে একটি চূড়ান্ত মতামত, মন্তব্য, পরামর্শ অথবা সম্পূর্ণ বিষয়টিকে সংক্ষিপ্তাকারে উপস্থাপন করুন।
এসব বিষয়ে সতর্ক থাকলে আপনি আর্টিক্যাল রাইটিং এ সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন। তবে লেখা শুরু করার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
মনে রাখুন-
আপনার লেখাটি কোথায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে- পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ব্লগ অথবা কর্পোরেট ওয়েবসাইট?
কাদের উদ্দেশ্যে লিখছেন- শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী নাকি সাধারণ মানুষের জন্য?
আপনার লেখার উদ্দেশ্য কি- উপদেশ, পরামর্শ, কোন বিষয় অবগত, বর্ণনা নাকি তুলনা করা?
আপনার আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়গুলো প্রথমে ড্রাফ্‌ট করুন। তারপর সেসব আর্টিকেলে ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত লিখুন।
এসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রেখে আর্টিকেলের ভাষা এবং ধরণ ঠিক করুন।

আপনার আর্টিকেলের ভাষা হতে পারে ফরমাল, সেমি-ফরমাল অথবা ইনফরমাল যা নির্ভর করে পাঠক সম্প্রদায়ের উপর এবং সেটি কোথায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার উপর।
আর্টিকেলে কখনই অতি-ব্যক্তিগত অথবা অতিরিক্ত ইমোশনাল আলোচনা করবেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লেখা শুরুর আগে অবশ্যই সেই বিষয়ের খুঁটিনাটি যথেষ্ট রিসার্চ করুন। আর্টিক্যালটি এমনভাবে লিখুন যেন আপনি পাঠকদের সাথে সরাসরি কথা বলছেন। একজন লেখক নয়, পাঠকের দৃষ্টিকোণ বিচার-বিশ্লেষণ করে তবেই লিখুন।

ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই একটি কথার সাথে অতি পরিচিত- “পরিশ্রম সৌভাজ্ঞের প্রসূতি”। অর্থাৎ, যেকোনো কাজে সফল হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। তেমনি আর্টিক্যাল রাইটিং খুব সহজেই শুরু করা গেলেও, এর মানোন্নয়নের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তাহলে চলুন দেখি লেখার মানোন্নয়নের জন্য কি কি করা যেতে পারে।

লেখার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়
উন্নতমানের ব্লগপোস্টগুলো পড়ুন।
তাদের লেখার ধরণ অনুসরণ করুন।
কিন্তু কখনও তাদের লেখা হুবহু কপি করবেন না। লেখাগুলো পড়বেন শুধুমাত্র আইডিয়া পাবার জন্য।
প্রচুর পরিমাণে আর্টিক্যাল লেখার চর্চা করুন।
লেখার মানোন্নয়নে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কপি পোস্ট 

3 comments:

  1. vai, banglay bllogin ar somvobona ki rokom mone koren. janaben aktu

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাংলা ব্লগিংয়েও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। নিউজ পেপার গুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও পপুলার বাংলা ব্লগ করে, বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করা যাবে।

      Delete
  2. Haloo pak^^

    Kami dari SENTANAPOKER ingin menawarkan pak^^

    Untuk saat ini kami menerima Deposit Melalui Pulsa ya pak.

    *untuk minimal deposit 10ribu
    *untuk minimal Withdraw 25ribu

    *untuk deposit pulsa kami menerima provider
    -XL
    -Telkomsel


    untuk bonus yang kami miliki kami memiliki
    *bonus cashback 0,5%
    *bunus refferal 20%
    *bonus gebiar bulanan (N-max,samsung Note 10+,Iphone xr 64G,camera go pro 7hero,Apple airpods 2 ,dan freechips)

    Daftar Langsung Di:

    SENTANAPOKER

    Kontak Kami;

    WA : +855 9647 76509
    Line : SentanaPoker
    Wechat : SentanaPokerLivechat Sentanapoker

    Proses deposit dan withdraw tercepat bisa anda rasakan jika bermain di Sentanapoker. So… ? tunggu apa lagi ? Mari bergabung dengan kami. Pelayanan CS yang ramah dan Proffesional dan pastinya sangat aman juga bisa anda dapatkan di Sentanapoker.

    ReplyDelete